West Bengal: বেঙ্গল গ্লোবাল সামিট থেকে বিনিয়োগ, চাকরি কত? ফের রাজ্যকে আক্রমণ রাজ্যপালের

শিল্প সম্মেলন বেঙ্গল গ্লোবাল সামিট থেকে গত কয়েক বছরে রাজ্যে কত বিনিয়োগ, আয়, কতজনের কর্মসংস্থান হয়েছে সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যের অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়-এর সংঘাত নতুন নয়। তবে এবার রাজ্যপালের তোপ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে। স্পষ্ট করে কিছু না বললেও ইঙ্গিত দুর্নীতির দিকে। রীতিমত টুইট করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে ইস্যু করলেন শিল্প সম্মেলনকে।

শিল্প সম্মেলন বেঙ্গল গ্লোবাল সামিট থেকে গত কয়েক বছরে রাজ্যে কত বিনিয়োগ, কত আয় হয়েছে, কত জনের কর্মসংস্থান হয়েছে সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যের অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্যপালের অভিযোগ এক বছর আগে দেওয়া সে চিঠির উত্তর তিনি এখনও পাননি।

গতবছর লেখা রাজ্যপালের চিঠি
গতবছর লেখা রাজ্যপালের চিঠিরাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
গতবছর লেখা রাজ্যপালের চিঠি
গতবছর লেখা রাজ্যপালের চিঠিরাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে

তিনি টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন যে, বাণিজ্য সম্মেলন থেকে আর্থিক বিনিয়োগ কত এসেছে তার কোনো সঠিক তথ্য নেই রাজ্য সরকারের কাছে। তিনি দাবি করেন, বেঙ্গল গ্লোবাল সামিটে যে আর্থিক লাভ এসেছে তার থেকে বেশি এই শিল্প সম্মেলনে খরচ হয়েছে। তিনি এই বাবদ রাজ্যকে লেখা চিঠিতে জানতে চেয়েছেন যে ২০১৬ পর এখন পর্যন্ত কত টাকা ব্যয় হয়েছে এই সম্মেলনে।

রাজ্যপাল প্রশ্ন করেছেন, কোন কোন সংস্থার মাধ্যমে এইসব খরচ হয়েছে। ওই সংস্থাকে সরাসরি টাকা নেওয়া হয়েছে না FICCI র মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর কত মউ সাক্ষরিত হয়েছে। এই মউ থেকে কত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং কত জন চাকরি পেয়েছেন। এইসব প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন এই চিঠিতে তিনি।

উল্লেখযোগ্য যে, ২৫ আগস্ট ২০২০ সালে রাজ্যপালের দেওয়া এই চিঠিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শিল্প সম্মেলনে বিনিয়োগের ১২ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব চেয়েছিলেন। এদিন তিনি টুইটারে লিখেছেন, যার উত্তর আজ পূর্যন্ত তিনি পাননি যে আসলে কত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বা কত মানুষের চাকরি হয়েছে।

শেষে তিনি লিখেছেন যে রাজ্য শিল্পের পরিবেশ তৈরি করতে গেলে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি প্রয়োজন। রাজ্যে শিল্পের অবস্থা এখন অতীতের ছায়ামাত্র বলে টুইট রাজ্যপালের। অনেক দিন ধরে বিরোধীদলগুলি এই শিল্প সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এবার সেই শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনকে হাতিয়ার করে রাজ্যকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in