অবশেষে কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy 2020) চালু করায় সম্মতি দিল রাজ্য সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সাল থেকেই পড়ুয়াদের স্নাতক কোর্সে পড়তে হবে চার বছর। আগে যা সম্পূর্ণ হতো তিন বছরে।
দেশজুড়ে কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। এ রাজ্যেও বিভিন্ন জেলায় বার বার প্রতিবাদ দেখিয়েছিল বামপন্থী ছাত্ররা। প্রথম দিকে কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়ে সমালোচনা করেছিল রাজ্য সরকারও। তবে বুধবার শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে ওই নীতিকে সমর্থন জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত কলেজেই চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু হবে। তবে এখনই চালু হচ্ছে না অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া।
প্রথমে বলা হয়েছিল এই বছর থেকেই শুরু হতে পারে একটি নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া। কলেজগুলিতে যাতে পড়ুয়াদের অতিরিক্ত টাকা দিতে না হয় সেই জন্য পোর্টালের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কিছু দিন আগেই জানিয়েছিলেন, এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। বেশ কিছু নিয়মের জন্য এই মুহূর্তে চালু হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে হবে।
পুরনো নিয়মেই এই বছর কলেজগুলিতে ভর্তি হতে পারবে পড়ুয়ারা। নতুন নিয়ম চালু হলে নির্দিষ্ট পোর্টালে টাকা জমা দিয়ে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে পারতো ছাত্র-ছাত্রীরা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর থেকে নয়া পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চার বছরের স্নাতক কোর্স পড়ুয়াদের জন্য সুবিধাজনক কিনা যাচাই করার জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, কমিটির পর্যবেক্ষণ মেনেই রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতিতে সম্মতি দিয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্যের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটি ইতিমধ্যেই চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করে দিয়েছে। তবে নতুন পদ্ধতি শিক্ষাক্ষেত্রে কতটা পরিবর্তিন আনে সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন