নবান্ন অভিযানের আগের মধ্য রাতে 'নিখোঁজ' হন চার ছাত্রনেতা। মঙ্গলবার সকালে সমাজ মাধ্যমে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অভিযোগের পরই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই চারজন অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করছিল বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল।
এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “গত রাত থেকে চার জন পড়ুয়া নিখোঁজ - এই মর্মে এক রাজনৈতিক নেতা টুইট করে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। সত্যিটা হল, কেউ নিখোঁজ নন। ওই চার জন আজকের নবান্ন অভিযানে ব্যাপক হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে আমাদের কাছে নির্দিষ্ট ও অকাট্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। খুন ও খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওরা। শান্তি রক্ষার স্বার্থে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ওদের গ্রেফতার করা হয়েছে।” এমনকি ওই চারজন যুবকের বাড়িতেও তাদের গ্রেফতারির খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমাজ মাধ্যমে পোষ্ট করে ওই চার যুবকের নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনে। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই চার যুবকের পরিবার। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন আইনজীবি কৌস্তভ বাগচি। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি। আগামী কাল বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভবনা।
এছাড়া জানা যাচ্ছে, আইনজীবী কৌস্তভ ওই চার যুবক নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ইমেল মারফত অভিযোগ পত্র পাঠান হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায়। অভিযোগ ছিল, সোমবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে ওই চার যুবককে অপহরণ করে দুষ্কৃতিরা। এরপরেই মঙ্গলবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই চারজন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন