প্রকাশিত হল রাজ্যের শিক্ষানীতি নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তি। শনিবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তি। এক বছর প্রি-প্রাইমারি ক্লাস এবং চার বছরের প্রাথমিক স্তরের উল্লেখ রয়েছে গেজেটে।
শনিবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পোর্টালে ১৭৮ পাতার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত কমিটির দেওয়া প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে এই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় রাজ্যের নীতির পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতির কিছু প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, চার বছরের প্রাথমিক ধাপের পর পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একটি ধাপ রয়েছে। এরপর নবম-দশম শ্রেণির পর মাধ্যমিক পরীক্ষা। এরপর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি। কেন্দ্রের শিক্ষা নীতিতে দশম শ্রেণিতে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষা নীতিতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে যে সব পড়ুয়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, তারা এই নিয়মের আওতায় পড়বে। এছাড়া অষ্টম শ্রেণি থেকে ধাপে ধাপে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করার কথাও গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা গেজেটে। প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা এবং ইংরেজি পড়তেই হবে পড়ুয়াদের। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পড়াতেই হবে সব স্কুলে। সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে। দার্জিলিঙে কেউ প্রথম ভাষা হিসেবে নেপালি নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। আবার কেউ যদি উর্দু, অলচিকি বা রাজবংশীকে প্রথম ভাষা করতে চায়, তা হলে সেটাও তিনি করতে পারেন। এছাড়া তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি এবং সংস্কৃতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করতে চলেছে রাজ্য।
পড়ুয়াদের জন্য ইউনিক আইডেন্টেটি কার্ড নামক একটি বিশেষ কার্ড চালু করতে চলেছে রাজ্য। এই কার্ডে মেমোরি চিপ ভরা থাকবে, যেখানে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পডুয়াদের পরীক্ষার ফলাফল নথিবদ্ধ করা থাকবে।
শিক্ষকদের নিজেদের কর্মজীবনের একটা অংশ গ্রামীণ এলাকায় কাটাতে হবে অর্থাৎ নির্দিষ্ট কয়েক বছর গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করা বাধ্যতামূলক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন