জলপাইগুড়ি জেলার রাণীনগরে টাটা গ্রুপের প্রস্তাবিত নতুন বিনিয়োগ সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাটি ‘ভুলবশতঃ’ করা হয়েছিল। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
সোমবার বিকেলে, রাজ্য সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প "উৎকর্ষ বাংলা" এর অধীনে বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের কাছে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করার একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময়, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি খুশি যে টাটা গ্রুপ জলপাইগুড়ির রাণীনগরে ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
যদিও এই ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বিশদে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। কোন খাতে বিনিয়োগ করা হবে বা কবে বিনিয়োগ করা হবে সে বিষয়েও কিছু জানাননি। অন্যদিকে, এই ঘোষণার পর টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই জল্পনা শুরু হয় এবং এরপরেই মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে টাটা গ্রুপকে বোঝাতে চাননি। আসলে, জলপাইগুড়িতে বিনিয়োগ করবে হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজ।"
একই সময়ে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে জলপাইগুড়ির রাণীনগরে হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজের বিনিয়োগের বিবরণ দিয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যার ভার্চুয়াল উদ্বোধন সোমবার কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই করেছেন।
গ্রীনফিল্ড ভারটিকাল ইউনিটটি ৬.৯ একর জমির উপর নির্মিত এবং জুস এবং স্পার্কলিং সফট ড্রিকংস তৈরির জন্য করা হয়েছে। এই প্রকল্পে মোট ৬৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এই ইউনিটে সরাসরি ১০০ জনকে নিয়োগ করা হবে এবং আরও ১৫০ জনের পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে।
উল্লেখ্য, টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান, রতন টাটা ২০০৮ সালের অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর থেকে টাটা মোটরসের ছোট গাড়ি, ন্যানো ফ্যাক্টরি থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মূলত, তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের জমি অধিগ্রহণ আন্দোলনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি সেই ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে গুজরাটের সানন্দে ন্যানো কারখানা নিয়ে যাওয়া হয়।
সেই থেকে, রাজ্যে টাটা গোষ্ঠীর নতুন বিনিয়োগ হয়নি। এমনকি ২০১১ সালের পরেও, যখন রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম সরকারের পতন হয় এবং মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস শাসনক্ষমতা দখল করে।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন