তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সাথে বৈঠক করায় রীতিমতো সমালোচিত হচ্ছেন 'প্রতিবাদী' চিকিৎসক নারায়ণ ব্যানার্জি। ঠিক কীসের জন্য কুণাল ঘোষের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি তা নিয়ে জল্পনা চলছে। নিন্দার মুখে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফাইও দিলেন চিকিৎসক।
১০ দফা দাবি নিয়ে লাগাতার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আজ সেই অনশন চোদ্দ দিনে পড়েছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষের সাথে বৈঠক করলেন চিকিৎসক নারায়ণ ব্যানার্জি। এই নারায়ণ ব্যানার্জিকে বিভিন্ন সময়ে বামেদের জনসভায় অথবা মিছিলে দেখা গেছে। কুণাল ঘোষের সাথে তাঁর বৈঠকের খবর পেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হচ্ছেন তিনি। যদিও তিনি বলেন, 'জুনিয়রদের ভালোর জন্য যা করার করেছি। আমি প্রথমে মানুষ, তারপর ডাক্তার, তারপর আমার রাজনৈতিক সত্ত্বা'।
গতকাল বৈঠক শেষে চিকিৎসক ব্যানার্জি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "আমি কিন্তু কোনও দলের মুখপাত্রের সাথে দেখা করতে আসিনি। আমি প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম কিছু জিনিস পরিষ্কার করার জন্য। আমার মনে হয় জুনিয়র ডাক্তাররা আমাদের চেয়ে যথেষ্ট পরিণত। ওরা আমার ছেলের বয়সী। ওদের কোনও অঘটন ঘটুক আমরা তো কেউ চাইব না"।
ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় চিকিৎসক ব্যানার্জি বলেন, 'আমাদের শাসকের অবস্থানটা পরিষ্কার জানার জন্য তাঁর (কুণাল ঘোষ) কাছে গিয়েছিলাম। আসলে দু'পক্ষই অনড়। বিশেষ করে সরকার বেশি অনড়। জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে'।
বৈঠক নিয়ে কুণাল ঘোষ খুব বেশি কিছু মন্তব্য করতে চাননি। তিনি কেবল জানান, 'চিকিৎসক ব্যানার্জি একজন অভিভাবক। অনশনকারীদের শুভানুধ্যায়ী হিসেবে তিনি এসেছিলেন। কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা কেউই চাই না এই অনশন চলুক।'
কুণাল ঘোষের সাথে সাক্ষাতের পরই চিকিৎসক নারায়ণ ব্যানার্জিকে নিয়ে সমালোচনায় সরব নেটিজেনদের একাংশ। কেউ লেখেন, 'ভুল পদক্ষেপ। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাহায্য করা উচিত কোনও রাজনৈতিক রঙ না দেখেই।' আবার কেউ লিখেছেন, 'যখন গিয়ে দেখা করতে হয় তখন সেটা ভদ্রতা না থেকে সমঝোতা হয়ে যায়'। আবার একজন লিখেছেন, 'যে কুণাল ঘোষ প্রতিনিয়ত এই আন্দোলনকে ছোটো করতে চেয়েছেন, কটূক্তি করেছেন, তাঁর সাথে দেখা করে ঠিক কাজ করেননি উনি।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন