মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের নেতা-কর্মীরা আমার পাশে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার মেডিকেল টেস্টের জন্য আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে এমনটাই জানালেন তিনি অনুব্রত মন্ডল।
গোরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। বৃহস্পতিবার, কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথে সাংবাদিকরা তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন। তার জবাবে অনুব্রত জানান, "ঠিকই তো বলেছেন। উনি বলবেন না! এ নিয়ে আমি আর কী বলব। দিদি এবং দলের সবাই আমার পাশে আছেন।"
অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ছয়জনকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আজ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন মেয়েকে নিয়ে প্রশ্ন করাতে যথেষ্ট বিরক্ত হন তিনি। মেয়ে টেট পাশ করেছে কিনা সেই প্রশ্ন করাতে এক সাংবাদিককে জোর ধমক দেন তিনি। তাঁর কথায়, "যা বলার কোর্টে বলব। আপনি কোন হরিদাস পাল! আমার মেয়ের সব পাশ করা আছে। সার্টিফিকেট আছে।"
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উদযাপনের কদিন আগে বেহালার এক সমাবেশে অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, "কী করেছিল কেষ্ট? কেষ্টকে কেন গ্রেফতার করা হল? যতবার নির্বাচন হয়েছে ততবার ওকে ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। সেদিন তো ও বাইরেই বের হতে পারেনি। ছেলেটা গত দু'বছর যে কষ্ট পেয়েছে আমি জানি। ওর বউ ক্যানসারে মারা গিয়েছে। ওর কষ্ট শুধু আমি জানি।"
অনুব্রতর আইনজীবী মারফত জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর থেকেই অনেকটা আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তাঁর। শারীরিক অসুস্থতার মাঝেও পুরনো মেজাজেই রয়েছেন অনুব্রত। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে যাওয়ার আগে সেই আত্মবিশ্বাসের ঝলকই যেন প্রকাশ্যে এল।
অন্যদিকে, সোমবার অনুব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা দাবি করেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। তিনি জানান, ‘‘উনি জেনেছেন যে, দলনেত্রী ওঁকে সমর্থন করেছেন। তাতে ওঁর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। উনি বলেছেন, আমি জানতাম দিদি আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন। আমাকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার সঙ্গে কোনও ভাবে এই ঘটনার যোগ নেই।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন