বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লাল বাতির ব্যবহার নিয়ে আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে।
সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলা চলাকালীন যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিচারপতি শ্রীবাস্তব। অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার প্রসঙ্গে বেশকিছু প্রশ্ন তুলেছে আদালত। যেমন -
১) একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি কি লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন?
২) অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি থেকে লালবাতি খুলে নেওয়া এবং ৫০০ টাকা জরিমানা দিলেই কি রাজ্যের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়?
৩)ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলেও কেন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার?
অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার নিয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশদে জানাবার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
শুধু তাই নয়, আদালতের তরফে এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করে জানানো হয়েছে, কারা কারা এই লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারিও করেছিল।
কোন গাড়ির কাচ কত অংশ কালো থাকবে, সেক্ষেত্রে কাচের ঘনত্ব কত হওয়া দরকার, সেইসব বিষয়েও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনায় যে আশঙ্কা তৈরী হয়েছে, তা নিয়ে আদালত যথেষ্ট চিন্তিত। মঙ্গলবার আদালতে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর বক্তব্য ছিল, "রাজ্যে যত গাড়িতে এমন নিয়ম বহির্ভূতভাবে লালবাতি লাগানো হয়েছে, সেইগুলি খুলে ফেলতে হবে।" পাশাপাশি যারা এইভাবে নিয়মের পরোয়া না করেই গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন