ই নিয়োগে বাধা দিচ্ছে বামপন্থীরা, এমনই অভিযোগ তুললো SLST চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এরই মাঝে এবার বামেদের করা মামলার জেরে আইনজীবী তথা সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের পক্ষ থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআই(এম)-র সদর দপ্তর মুজফফর আহমেদ ভবন বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক SLST চাকরিপ্রার্থী জানান, "বামপন্থী আইনজীবী যারা আছেন তাঁরা ভালো করে শুনে রাখুন, আপনারা যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেইভাবে যদি পাশে না দাঁড়ান, যদি বিরোধিতা করেন তাহলে আমরা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অফিস ঘেরাও করব। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিপিআই(এম)-র অস্তিত্ব মুছে ফেলব। বেকারদের নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে!"
যদিও চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষোভের প্রধান কারণ ঠিক কী, বা কেন তাদের পক্ষ থেকে এই ধরণের মন্তব্য উঠে এল সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। কারণ বামপন্থীদের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "বেশি ভরসা করতে যাবেন না। ভাগাভাগি করে, চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বিরোধ বাধানো আমাদের কাজ না। ওটা শাসক দল চাইতে পারে। ওই ফাঁদে যদি কেউ পা দেন, তিনি বিপদে পড়বেন। বিকাশবাবু সহ বাকি আইনজীবীরা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত লড়াই করছেন। আপনাদের সবার কাছে আবেদন, অযথা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।"
এই প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক ভিডিও পোস্ট করে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, "বামপন্থী আইনজীবীরা স্বচ্ছ নিয়োগের পক্ষে। প্রত্যেক যোগ্য প্রার্থীর চাকরি চাই। আমি সমস্ত নিয়োগপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলছি, আগেও আমরা যেভাবে আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। স্বচ্ছ নিয়োগের পক্ষে বামপন্থীরাই আছে।"
এই বিষয়ে তিনি বেশকিছু ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, সেগুলি হল :-
"প্রথমত, এটা যদি কোনও আইনজীবীদের কারণে চাকরি না পাওয়ার বন্দোবস্ত হত, তাহলে বিষয়টা ওরকমভাবে হত না। চাকরি সরকার দিতে পারে। সরকার তো তৃণমূল দ্বারা পরিচালিত। কোনও উকিলরা চালায় না।"
"দ্বিতীয়ত, সুপার নিউমেরিক পোস্ট যারা তৈরি করল, কেন তৈরি করল? কাদের সাথে তৈরি করল? কীভাবে তৈরী করল? গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা সর্বত্র সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি হয়েছে।"
"তৃতীয়ত, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। তার সাথে তৃণমূলের কিছু মাতব্বর নেতা ভাবছেন, তাঁরা অনেক বেশি আইনকানুন বুঝে গেছেন। বামপন্থীদের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশকে প্ররোচিত করতে তাঁরা পরিকল্পিত প্রচার চালাচ্ছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন