ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের বিরুদ্ধে ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব সংগঠনের সভাপতি কেদার সরকারকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ ওঠে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাউন্সিলর সুনন্দা সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিওতে দেখা যায় শোভাবাজারের ঢুলিপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বচসা শুরু হয় কাউন্সিলর ও যুবনেতার মধ্যে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলতে চলতেই সুনন্দাকে কেদারের দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়। তাঁর কলার ধরে টেনে থাপ্পড়ও মারেন সুনন্দা। (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
এই ঘটনায় কেদারের অভিযোগ, “কাউন্সিলর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ থেকে শুরু করে জুয়া-সাট্টার ব্যবসায় সরাসরি মদত দিচ্ছেন। অর্থ উপার্জনের জন্য এলাকাকে দূষিত করে তুলেছেন তাঁর স্বামী ও তিনি। তাই তাঁর সেই সব অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ জানানোয় আমাকে মারা হয়েছে।“
অন্যদিকে, সুনন্দার পাল্টা দাবি, “কেদার আসলে একজন সমাজবিরোধী। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করছিল। তা জানতে পেরেই ওখানে যাই। কেদারের হাতে লাঠি ও ইট ছিল। আমি সেগুলো কেড়ে নিতে যাই। সেই কেড়ে নেওয়ার দৃশ্যকেই ওরা থাপ্পড় মারা হিসাবে তুলে ধরছে।“ তাঁর আরও অভিযোগ, “এলাকায় তোলাবাজি থেকে শুরু করে সব রকম অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কেদার। ওর অনৈতিক কাজকে সমর্থন করি না। তাই প্রতিবাদ করেছি।“
জানা গেছে, এই ঘটনার প্রতিবাদে বড়তলা থানা ঘেরাও করে কেদারের অনুগামীরা। অন্যদিকে, পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সুনন্দা। উভয় পক্ষকেই ভর্ৎসনা করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, কেদার সরকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী শশী পাঁজার ঘনিষ্ট। অন্যদিকে, মন্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই কাউন্সিলর সুনন্দা এবং তাঁর স্বামী বাবু সরকারের। আর এই বিবাদ বিধায়কের সঙ্গে কাউন্সিলরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই হয়েছে বলে মত তাঁদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন