উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ! বিতর্ক শুরু

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের পরে ২০২০ সালে ফিজিওলজি, অঙ্ক, সাংবাদিকতা, ফুড ও নিউট্রেশন, ভূগোল, অর্থনীতি বিভাগে মোট ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ছবি- বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট
Published on

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ হচ্ছে। অথচ তাতে উচ্চশিক্ষা দপ্তর অনুমতি দেয়নি। মালদা সফরে গিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে কার্যত ঢিল মারলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তিনি এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু উপাচার্য কোনও সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

শিক্ষা মহলের প্রশ্ন, যে নিয়োগ দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারছেন, তা উপাচার্য কীভাবে জানতে পারলেন না! গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের পরে ২০২০ সালে ফিজিওলজি, অঙ্ক, সাংবাদিকতা, ফুড ও নিউট্রেশন, ভূগোল, অর্থনীতি বিভাগে মোট ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।

এখন প্রশ্ন, এই নিয়োগ নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ হল কেন? কেন নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এখানে তফশিলিদের জন্য আসন সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু নিয়োগ হয় সাধারণ ক্যাটাগরিতে। জানতে পেরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

এখানে অনেকেই শুভেন্দু–সুকান্ত জুটির গন্ধ পাচ্ছেন। শুভেন্দু অধিকারী মালদা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন। তখন তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু শিক্ষক সক্রিয় ছিলেন। আবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক। এই দুটি বিষয় নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও শিক্ষক নিয়োগে কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
WB: অনেক কাজ চলছে, আর কিছু করতে বলবেন না, সরকারের সব টাকা শেষ: প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in