উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে চললো গুলি। এই ঘটনায় ১৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও অসমর্থিত সূত্রে খবর, ২২ জন আহত হয়েছেন। কেউ সরাসরি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আবার কারও শরীর ছুঁয়ে গুলি বেরিয়েছে। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আতালডাঙ্গি হাট এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। আহত তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের পেছন থেকে গুলি চালানো হয়। আহতদের সকলকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও চিকিৎসা চলছে তাঁদের। পুলিশ সূত্রে খবর, ছররা গুলি চলেছে।
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা আরও জানান, গুলি চালায় সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীর অনুরাগীরা। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম থেকেই ওই নির্দল প্রার্থী তৃণমূল কর্মীদের হুমকি দিচ্ছিলেন। তৃণমূলকে ভোট দিলে ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, এই ঘটনা মূলত চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান এবং ইসলামপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাকির হুসেন গোষ্ঠীর মধ্যে হয়েছে। আবার তৃণমূলের জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী মৌসুমি খাতুনের স্বামীর অভিযোগ, সুজালি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি আব্দুল হকের নেতৃত্বেই এই হামলা চলেছে। যদিও আব্দুল হক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পরই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের সকলে গ্রেফতার করা হবে। নিরপেক্ষভাবেই তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন