১ ফেব্রুয়ারি বাজেট ঘোষণার পর ফের শুরু হল শালিমার স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ। এই কাজ শুরু হয়েও থমকে ছিল মাঝপথে। মঙ্গলবার এই খাতে বরাদ্দ ঘোষণার পর অবশেষে কাজে গতি আসতে চলেছে। রেল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। রেলের পিঙ্ক বুক অনুযায়ী, এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। রেল সূত্রে খবর, আগামী দু'বছরের মধ্যে বদলে যাবে শালিমার স্টেশন।
গত বছর জুনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার কথা ছিল শালিমারের। স্টেশনটি রেল ইয়ার্ড হিসাবেই পরিচিত ছিল। আধুনিকীকরণের জন্য প্রাথমিক ভাবে খরচ ধরা হয় ৩৪৫ কোটি টাকা। তবে নিয়মিত এই স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ত না। কিন্তু এবার চেহারা বদলাচ্ছে শালিমার স্টেশনের। তৈরি হতে চলেছে তিনতলা স্টেশন বিল্ডিং।
কিরকম হবে স্টেশনটি? বিমানবন্দরের মতো পরিকাঠামো থাকবে শালিমারে। গঙ্গার ঠিক পাড়ে অবস্থিত শালিমার। এই ভৌগলিক অবস্থান স্টেশনটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব। গঙ্গার পারে হওয়ায় লঞ্চেও যাত্রীরা সহজেই স্টেশনে যাতায়াত করতে পারবেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে তৈরি হচ্ছে জেটি।
এদিকে, জেটি শেষ হবে, শুরু হবে সাবওয়ে। সেখানে থাকবে এসকেলেটর। চলমান সিঁড়ি বেয়ে যাত্রীরা সোজা ঢুকে পড়তে পারবেন প্ল্যাটফর্মে। প্ল্যাটফর্মে ঠিক গা ঘেঁষেই তৈরি হচ্ছে তিনতলা চকচকে স্টেশন বিল্ডিং। তারমধ্যে টিকিট কাউন্টার-রেস্তোঁরা, যাত্রীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা সবই থাকছে। যাত্রীরা যাতে সহজেই শহরে ঢুকতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা করছে রেল। লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর তৈরি হচ্ছে রেলওয়ে ওভারব্রিজও। ফলে দ্রুত পৌছে যাওয়া যাবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে।
রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হাওড়া। তাতে চাপ কমাতেই সুবিশাল এই কর্মকাণ্ড বলে জানা যাচ্ছে। যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি রেল ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও হবে এখানে। তার জন্য অফিস বিল্ডিংয়ের ঠিক পাশেই থাকছে পিট সাইটিং। অনেকেরই অভিযোগ, অর্থের অভাবে সংস্কারের কাজে ভাটা এসেছিল। ফের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় সেই কাজ সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন