আবাস দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলের পঞ্চায়তে সদস্যদের গণইস্তফা মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর জনরোষের আশঙ্কাতেই তাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রীর গলাতেও একই সুর শোনা গেল। শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, মাথাভাঙাতেও আবাস দুর্নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর আবাস দুর্নীতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্রমশ চাপে ফেলছে তৃণমূলকে। মালাহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ মোট ১৭ জন ইস্তফা দেন। সকলেই ভরতপুর ২ নং ব্লকের বিডিও-র কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। পঞ্চায়েত প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘গ্রামের অনেকেরই নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হবে। সেই ক্ষোভ আমাদের ওপরই আসবে। আমাদেরও পরিবার আছে। আমরা সকলে মার খেলে তখন কে বাঁচাবে? জনরোষের ভয়েই পদত্যাগ করেছি’।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামে আবাস যোজনার সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়নি। গ্রামের বিভিন্ন এলাকার ২০-৩০ শতাংশ বৈধ উপভোক্তার নাম বাদ গেছে। পঞ্চায়েতে গেলে বলছে আধিকারিকদের গাফিলতি। আর আধিকারিকদেরকে অভিযোগ জানালে তাঁরা পঞ্চায়েতের দিকে আঙুল তুলছেন। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান দাবি করেন, আবাসের তালিকা তৈরি করেছে সরকারি কর্মীরা। এখানে পঞ্চায়েত সদস্যদের কোনো দোষ নেই। তৃণমূলেরই আরেক শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, দোষ করেছে তাই ইস্তফা দিয়েছে। তাতে তৃণমূলের কিছু হবে না।
কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও আবাস দুর্নীতি নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতি। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর বাবার নাম রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেন বুথ সভাপতি। অঞ্চল সভাপতির অপসারণের জন্য বুথ সভাপতি মিছিলের আয়োজনও করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন