একে ভ্যাপসা গরম তার ওপর রাজ্যজুড়ে লোডশেডিং। সবমিলিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। সূত্রের খবর, রাজ্যে ২৫০০-র বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি হয়েছে। সেটা পূরণ করতেই জেলায় জেলায় ঘন্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি। কিন্তু সাধারণ মানুষকে সত্যিটা জানতে দেওয়া হচ্ছে না! এমনই অভিযোগ উঠছে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে। পিডিসিএল (পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড) সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াটে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছিল ২৪০০ মেগা ওয়াট। ফলে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।
বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণও জানিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। তাদের দাবি, রাজ্যে প্রতিদিন ৪২৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। কিন্তু বক্রেশ্বর, সাগরদিঘি এবং কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে রক্ষণবেক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে।
আবার কয়লার কম উৎপাদনকেও দায়ী করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। জানা যাচ্ছে বর্ষাকাল বলে কয়লা উত্তোলন ব্যাহত হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম উৎপাদনের কারণে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। মূলত পিডিসিএল-র ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার নিজস্ব কয়লা খনি থেকে কয়লা উৎপাদন কম হচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কর্তৃপক্ষের কাছে এই সমস্যা নতুন নয়। প্রতি বছর বর্ষার কারণে কয়লা উৎপাদন কম হয়। তাহলে আগাম সতর্কতা নেওয়া হলো না কেন? ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করলে হয়তো এই সমস্যা এড়ানো যেত।
সূত্রের খবর, যেসব জায়গায় লোডশেডিং হচ্ছে সেখেনা নাকি লোডশেডিং শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে 'লোকাল কেবল ফল্ট' উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানাতে হবে গ্রাহকদের। এই সমস্যা কতদিন হবে তার কোনো নির্দিষ্ট দিন বলা হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন