নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পক্ষ নিয়ে পোস্ট করে সাসপেন্ড হওয়া বিশ্বভারতীর ছাত্রনেতার হয়ে এবার সরব হলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, গবেষক, পড়ুয়া, শিক্ষাবিদরা। একটি অনলাইন পিটিশনের মাধ্যমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে গণস্বাক্ষর করা চিঠি পাঠানো হয়েছে দেশের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতী পরিদর্শক দ্রৌপদী মুর্মূকে। ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ওই চিঠিতে সই করেছেন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, কলম্বিয়ার মোট ২৬০ জন অধ্যাপক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনরা।
দীর্ঘদিন ধরেই নোবেল জয়ী তথা ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতনে তাঁর বাসভবন লাগোয়া ১৩ ডেসিমেল জমি ‘দখল’ করে রাখার অভিযোগ তুলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিবাদ এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে তার জল গড়িয়েছে সরকার থেকে আদালত পর্যন্ত। তবে কয়েকমাস আগে ভূমি ও জমি সংস্কার দফতরের তথ্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অমর্ত্য সেনের সমর্থনে পোস্ট করেন বিশ্বভারতীর ছাত্রনেতা তথা এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সৌ।
ওই পোস্টে সোমনাথের সাফ দাবি ছিল, ভারতরত্ন অমর্ত্য সেন কোনও দখল করে রাখেননি। এরপরেই গত ২৬ জুলাই তৃতীয় সেমিস্টারের পর থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগেও একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোমনাথ। যে কারণে আগেও একাধিক বার সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই পড়ুয়াকে।
অর্থনীতিতে নোবেল জয়ীর পক্ষ নিয়ে পোস্ট করায় ছাত্রনেতাকে বরখাস্ত করার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয় গোটা দেশের শিক্ষা মহল। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় দেশের বাইরেও। এবার সৌ-এর সমর্থনে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, যাদবপুর, কল্যাণী, রবীন্দ্রভারতী, হায়দরাবাদ, আসাম, বর্ধমান, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ও আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সিমন ফ্রাসের বিশ্ববিদ্যালয়, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অদ্যাপক-গবেষকরাও চিঠি দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন