শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একেই রাজ্যের পরিস্থিতি টালমাটাল। তার মধ্যেই শুক্রবার শিক্ষা দপ্তরের মোট ২৭৫ জন কর্মীকে বদলি করা হল। এক দিনে এত জনের বদলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে এটি রুটিন অনুযায়ী বদলি।
শুক্রবার সকাল থেকেই ১৩-১৪ টি জায়গায় ইডি তল্লাশি অভিযান চালায়। শিক্ষা দপ্তরের প্রাক্তন আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারমধ্যেই ২৭৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর ও সাব ইনস্পেক্টরকে বদলি করে শিক্ষা দপ্তর। সূত্রের খবর, শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এমন বদলি হয়েই থাকে। নতুন কিছু নয়। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ একসাথে বিশাল সংখ্যক বদলির পেছনে কী কারণ।
কেউ কেউ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা নিজেদের কাজ ঠিকমতো পালন করছিলেন না। একাধিক জায়গা থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যার ফলে বদলি করতে কার্যত বাধ্য হয় শিক্ষা দপ্তর।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ জেরার পর ইডি গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। টানা ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের শেষে ইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকাল ১০ টা নাগাদ পার্থর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি আধিকারিকদের একটি দল। সারা দিন এবং রাতভর জেরার পর শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূলের মহাসচিবকে।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আটক করা হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। ইডি সূত্রের দাবি, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন জানিয়েছেন, সমস্ত নিয়োগ করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন