জয়নগরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনে দায়ের হলো তিনটি মামলা। একটি মামলা সাইফুদ্দিন লস্কর খুন, দুষ্কৃতি সন্দেহে ধৃত ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের একটি মামলা এবং অন্যটি হলো সিপিআইএম সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে।
সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ গুলি করে খুন করা হয় সাইফুদ্দিনকে। নিহতের বাবা খুনের জন্য সিপিআইএমকে দায়ী করেছিলেন। কিন্তু তদন্ত যত এগোচ্ছে নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক নয়া তথ্য জানা যাচ্ছে। এমনকি খুনের ঘটনার সাথে দলীয় কর্মীদেরই যোগ থাকার প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। এর পেছনে মাথারা কারা আছে তার খোঁজ চালানো হচ্ছে। পুলিশের দাবি, খুনীরা ঘটনার আগের দিন এসে এলাকা রেইকি করে যায়।
সোমবারই শাহরুল শেখ নামে এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন তথ্য মিলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গেছে তৃণমূল নেতার গতিবিধির খুঁটিনাটি দেখার জন্য তাঁর বাড়ির পাশেই একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল পেশায় দর্জি ডায়মন্ড হারবারের নেতড়ার বাসিন্দা শাহরুল শেখ।
অন্যদিকে দুষ্কৃতি সন্দেহে গ্রামবাসীরা একজনকে পিটিয়ে খুন করে। পরে জানা যায় গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় হচ্ছে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। নিহতের স্ত্রীই এই কথা জানিয়েছেন। ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুনের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।
বিরোধীদের দাবি, জয়নগর এলাকায় মাফিয়ারাজ চালাতেন সাইফুদ্দিন। নিহত তৃণমূল নেতার উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই ওই অঞ্চলে দাপট বাড়তে থাকে সাইফুদ্দিনের। প্রথমে তিনি মুহুরির কাজ করতেন পরে সেই কাজও ছেড়ে দেন। বর্তমানে নাকি বিলাসবহুল বাড়ি ও একাধিক গাড়ি রয়েছে নিহত তৃণমূল নেতার। কিন্তু এত টাকার উৎস কী তা নিয়ে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে এলাকায়। তাঁর স্ত্রী বামনগাছি পঞ্চায়েতের প্রধান। ২০১৮ সালে স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পর থেকে সাইফুদ্দিন আরও ফুলে ফেঁপে ওঠে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন