৩ বছর পর ফের বর্ধমান স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলো। বুধবার বেলা ১২ টা নাগাদ আচমকাই ভেঙে পড়লো জলের ট্যাঙ্ক। এখনও পর্যন্ত ৩ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ।
প্রতিদিনের মতো আজও বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন যাত্রীরা। বেলা ১২.০৮ নাগাদ আচমকাই ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে অবস্থিত জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। প্ল্যাটফর্মের উপরে থাকা টিনের শেড ভেঙে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই চারিদিক জল ভর্তি হয়ে যায়। আহত হন বহু যাত্রী। গুরুতর আহত হন ৩০ জন যাত্রী। সকলকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। বর্ধমানের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে রেলের তরফ থেকে এখনও মৃত্যুর বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
নিত্যযাত্রীরা জানান, রোজই ট্যাঙ্ক থেকে জল পড়তো। কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো না। আজ হঠাৎই সজোরে আওয়াজ হয়। তারপরই দেখা যায় ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে গেছে। এই ট্যাঙ্কটি বহু পুরনো। কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত ছিল।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, '২ এবং ৩ নম্বরে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ওই দুই লাইনে আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ১ এবং ৪ নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। তদন্ত করে পুরো বিষয়টি দেখা হবে'।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালেও এই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল বর্ধমান স্টেশনে। সেই সময় স্টেশনের মূল ফটক ভেঙে পড়েছিল। যাতে মৃত্যু হয়েছিল এক যাত্রীর। ৩ বছর পর ফের বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনা রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন