শেষ ১৫ দিনে খুন হলেন তৃণমূলের ৪ নেতা। বিরোধীদের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হচ্ছেন তাঁরা। তৃণমূল অবশ্য সমস্ত খুনের পেছনে বিরোধীদের ষড়যন্ত্রকে অভিযুক্ত করছে।
দুই ২৪ পরগনায় শেষ ১৫ দিনে ৪ শাসক নেতা খুন হলেন। জগদ্দল, জয়নগর, আমডাঙার পর এবার গোসাবায় পিটিয়ে খুন করা হলো তৃণমূলের বুথ সভাপতি মুছাকালি মোল্লাকে। তিনি রাধানগর-তারানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৪ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। নিহতের পরিবারের দাবি, তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী পিটিয়ে খুন করেছে মুছাকালিকে। অভিযুক্তরা স্থানীয় বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
পরিবারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, গ্রামে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। যার প্রতিবাদ করেন মুছাকালি। এরপরই আরেক তৃণমূল নেতা বাকিবুল মোল্লার সঙ্গে বচসা বাদে এবং মুছাকালির। দু'জনেরই মাথা ফেটে যায়। মুছাকালিকে বেশ কিছুক্ষণ পাশেই এক নদীতে ডুবিয়ে রাখা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রাস্তাতেই ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুন করেছে বাকিবুল মোল্লা ও তার লোকজন। এই বাকিবুল ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে যোগদান করেছিল। পরে সুব্রত মণ্ডল বিধায়ক হওয়ায় ফের তৃণমূলে ফেরে। সুব্রত মণ্ডলের মদতে লোহার রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে মুছাকালিকে।
গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলের অবশ্য দাবি, "অযথা মিথ্যা বদনাম করছে নিহতের পরিবার। যারা মূল দোষী তাদের পুলিশ গ্রেফতার করুক। আদালতে অভিযুক্তদের বিচার হবে। মুছাকালি তৃণমূলেরই বুথ সভাপতি। কী কারণে বচসা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনো বিষয় নেই।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন