মুর্শিদাবাদে বেসুরো ৪ তৃণমূল বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় নির্দল প্রার্থী দেওয়ার পথ বেছে নিলেন হুমায়ুন কবীর, রবিউল আলম চৌধুরী, শাহিনা মমতাজ এবং জলঙ্গির আব্দুর রজ্জাক। তাঁদের দাবি জেলা নেতৃত্বের মদতেই দুর্নীতির সাথে যুক্তরা দলীয় টিকিট পেয়েছে। যা মেনে নেওয়া যায় না।
বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছিলেন দলের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। এবার তাঁর সাথে যোগ দিলেন আরও ৩ বিধায়ক। হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, আমার দেওয়া তালিকার মাত্র ১০ শতাংশকে প্রার্থী করা হয়েছে। বাকিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ আমি করছি। তাই ঠিক করেছি বাকি প্রার্থীদের নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে নির্বাচনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবো।
নওদার তৃণমূল বিধায়ক শাহিনা মমতাজ বলেন, জেলা সভাপতি নিজের ইচ্ছে মতো প্রার্থী নির্বাচন করেছেন, আমাদের কথার কি কোনও মুল্যই নেই? রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম বলেন, মমতা ব্যানার্জি নির্দেশ দিয়েছিলেন সৎ প্রার্থী দিতে হবে পঞ্চায়েতে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের বেশীরভাগ জায়গাতেই তোলাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্তদের টিকিট দেওয়া হয়েছে।
জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রজ্জাকের কথায়, সমস্ত জায়গায় বিরোধীদল প্রার্থী দিচ্ছে কিন্তু আমাদের দল থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণাই করা হচ্ছিল না। আর যখন তালিকা ঘোষণা হলো দেখা যাচ্ছে অনেক ত্রুটি রয়েছে। এমনভাবে চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনগুলিতে দল সমস্যায় পড়বে। তাই আমরা আলোচনা করেই ঠিক করলাম নির্দল হিসেবে প্রার্থী দেবো।
হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, নেতৃত্ব যদি কংগ্রেসের হয়ে জেতা বাইরন বিশ্বাসকে দলে নিতে পারে তাহলে আমাদের দাবিটাও যথাযথ। দলীয় বিধায়কদের এমন কাজ পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে ঠিক কতটা অস্বস্তিতে ফেলবে তা ১১ জুলাই জানা যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন