কোচবিহারে শাসক শিবিরে ভাঙন। বালাভুত গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী যোগ দিলেন সিপিআইএম-এ। পঞ্চায়েতের আগে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েই চলেছে বিরোধী দলগুলি। যদিও এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষোণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন চাপে শাসক শিবির সেই সময়ই নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধী দলগুলি। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে - সব জায়গাতেই শাসকদল থেকে সিপিআইএমে যোগদানের খবর আসছে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালদহের চাঁচল, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি এবং বীরভূমের রামপুরহাটের কয়েকশ মানুষ সিপিআইএমে যোগ দিয়েছেন। মালদহে প্রায় প্রতিদিনিই শোনা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘটনা খবরে আসছে। এই তালিকায় নতুন সংযোজন কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। সেখানের প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী সিপিআইএম-র পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
বালাভূত ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য (২৪৭ নম্বর বুথের) মিজানুর রহমান বলেন, তিন মাস হয়েছে আমি তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিয়েছি এবং পঞ্চায়েত থেকেও ইস্তফা দিয়েছি। এখন আমরা এবং আমাদের গ্রামের সাধারণ মানুষ তৃণমূল দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। আমরা গ্রামের ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগদান করেছি। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বালাভুত গ্রামপঞ্চায়েতের সবক'টি আসনে জিতবে সিপিআইএম।
তৃণমূল অবশ্য এই যোগদানে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। শাসক দলের দাবি মিজানুর রহমান দলবিরোধী কার্যকলাপের যুক্ত ছিল। যার জন্য দলে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হতো না। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন