উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে তৃণমূলের বুথ সভাপতি, নেতা, কর্মী সহ মোট ৪০০ জন যোগ দিলেন সিপিআইএম-এ। সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে বামেরা যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একসময় বারাসাত বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে ধীরে ধীরে শক্তি হারাতে থাকে তারা। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজেদের জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সিপিআইএম। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারাসাতে তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগদান করলেন ৪০০ কর্মী-সমর্থক। যা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বাম শিবির।
যোগদানকারীদের কোথায়, তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে চান তাঁরাও। এক যোগদানকারী বলেন, "আমরা দুর্নীতিগ্রস্তদের সাথে থাকতে চাইনা। তৃণমূলের দুর্নীতি ঠেকাতে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএমকে জেতাতে হবে। গ্রামের সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে সিপিআইএম-র ওপর ভরসা করতে শুরু করেছে। আগামীদিনে আরও অনেকে তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগদান করবে।"
সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে বর্তমান পরিস্থিতি। সবকিছু বিচার করেই তাঁরা সিপিআইএম-এ আসছেন। শুধু উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে মানুষ সিপিআইএম-এ যোগ দিচ্ছেন। আগামীদিনে মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারলে তৃণমূলের জেতা কঠিন হয়ে যাবে।
পাশাপাশি বারাসাতের কীর্তিপুর বাগবান্দা সাইবেড়িয়া অঞ্চলে দীর্ঘ ১২ বছর পর সিপিআইএম-র পার্টি অফিসও খুললো। বাম নেতৃত্বের দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে পার্টি অফিসটি বন্ধ ছিল। পুনরায় খোলাতে স্থানীয় সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরাও উজ্জীবিত হয়েছে বলেই মনে করছেন বাম নেতৃত্ব।
শুধু উত্তর ২৪ পরগনাতেই নয়, কোচবিহারের মাথাভাঙার কুর্শামারি অঞ্চলের মহিশচরী দক্ষিণ ৬ ও ৭ নং বুথে তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে ১০০ জন সিপিআইএম-র পতাকা তুলে নেন। জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়ের উপস্থিতিতে তাঁরা সিপিআইএম-এ যোগদান করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন