নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পরই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক উঠেছে বঙ্গ বিজেপিতে। রাজ্য কমিটিতে পদ খুইয়ে আগেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন সায়ন্তন বসু এবং বিশ্বপ্রিয় চৌধুরী। এবার দলের বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন পাঁচ বিধায়ক। এঁরা প্রত্যেকেই মতুয়া সম্প্রদায়ের।
সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি নেই। অথচ রাজ্যে আজ বিজেপি যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে তার অনেকটা কৃতিত্ব মতুয়াদের। তারই প্রতিবাদে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেছেন পাঁচ বিধায়ক। এই পাঁচজন হলেন, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী।
'বেসুরো' বিধায়করা 'বড়' কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটি নিয়ে খুশি নন তিনিও। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সাথে দেখা করতে সময় চেয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে শনিবার জেলাস্তরেও ব্যাপক রদবদল করেছে বিজেপি। ৩০ জন সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে অপসারিত করা হয়েছে। নবগঠিত রাজ্য কমিটি নিয়ে দলের মধ্যে যে ক্ষোভ ছিল জেলা সভাপতি বদল তাতে ঘৃতাহুতি দেয়। অপসারিত জেলা সভাপতিদের অধিকাংশই দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন