সিপিআইএম কার্যালয় দখলে টিএমসিপির সাথে বচসায় জড়ানো নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জিয়াউল আলম সহ জলপাইগুড়ির একাধিক বাম নেতা। সোমবার অবশেষে জামিন পেলেন তাঁরা। জলপাইগুড়ি মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর লাল আবির উড়িয়ে রীতিমতো আনন্দে মাতলেন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা।
মামলায় অভিযুক্ত পার্টি নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গত চার দিন উত্তাল হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। মিছিল করেন শিক্ষক, কর্মচারী, শিল্পী, সাহিত্যিক বিশিষ্টজনেরা। মুক্তির দাবিতে সোমবার সকালে কবিতা লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক মন্দাক্রান্তা সেনও।
সোমবার বেলা তিনটের পর মামলাটি আদালতে ওঠে। বিচারক অভিজিত্ গুপ্তাকে সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় ব্যানার্জি বলেন, পুলিশের মাথায় আঘাত লেগেছে। বিচারক সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন সেই পুলিশ অফিসার কি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ভর্তি? সরকারি আইনজীবী জানান ওই অফিসার নার্সিংহোম থেকে ছুটি পেয়ে বাড়িতে আছেন। এরপর কিছুক্ষণ সওয়াল-জবাবের পর বিচারক পাঁচ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।
জেলের গেট থেকে আটক নেতৃবৃন্দকে ফিরে পেয়ে উত্সাহে ফেটে পড়েন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। ফুলের মালা দিয়ে সিপিআইএম নেতৃবৃন্দকে বরণ করে নেওয়া হয়। মুক্তি পান সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জিয়াউল আলম, পার্টি জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পীযুষ মিশ্র, পার্টির জেলার নেতা তমাল চক্রবর্তী, এবিটিএ জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রসেনজিত্ রায় , এবিপিটিএ'র জেলা নেতা জ্যোতি বিকাশ কর।
সিপিআইএম জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, ''পার্টি নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় ছড়িয়ে পুলিশ জেলের ভেতরে রাখতে চেয়েছিল কিছুদিন। আমরা আইনি লড়াইয়ের সাথে রাস্তার লড়াইয়ে ছিলাম। অবশেষে প্রশাসন বাধ্য হয়েছে নেতৃবৃন্দকে জেল থেকে ছাড়তে। পার্টি পরিবারের বাইরেও এই লড়াইয়ে যাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন সকলকে অভিনন্দন। এই জয় মানুষের লড়াইয়ের জয়।''
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন