বীরভূমে ফের শক্তি বাড়লো বামেদের। লাভপুর ব্লকের হাতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৫০০ জন বিজেপি-তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগদান করলেন। আগামীদিনে আরও অনেকেই সিপিআইএমের পতাকা হাতে তুলে নেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্ব।
অনুব্রতহীন বীরভূমে ক্রমশ তৃণমূলের মধ্যে ভাঙন বাড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনেকেই যোগ দিচ্ছেন সিপিআইএম-এ। এবার লাভপুরের কামোদপুর, তরুলিয়া, বিষয়পুর, লাঘোষা, ভালকুঠির মতো সন্ত্রাস কবলিত গ্রাম থেকে প্রায় ৫০০ মানুষ তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগ দিলেন।
যোগদানকারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে ছিলাম। আজ আমরা নিজেদের ইচ্ছায় সিপিআইএমে যোগ দিলাম। কারণ তৃণমূলে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। আমাদের কোনো কথা শোনা হতো না। নিজের জমিতেই কোনো কাজ করতে পারতাম না, কোনও আধিকারিকের সাথে কথা বলতে পারতাম না। কিছু বললেই মারধর করতো। তৃণমূলের কাছে সাধারণ মানুষের কোনো দাম নেই।'
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, যদি এখন বোমা বাঁধতে পারতাম, বোমা মারতে পারতাম তাহলে তৃণমূলের চোখে আমরা ভালো হতাম। কিন্তু ওসব আমরা পারবো না। আর রাজ্যের যা অবস্থা তাতে ক'দিন পর আমাদের বাড়িতেও দেখবো পুলিশ চলে আসবে।
তিনি আরও বলেন, সিপিআইএম দীর্ঘদিন সরকার চালিয়েছে। সেই সময় এমন দুর্নীতি ছিল না। তখন গরিব মানুষ অন্তত কথা বলতে পারতো। আবার যাতে গরিব মানুষ কথা বলতে পারে তার জন্যই সিপিআইএম-এ আসা। তৃণমূল করলে বাঁচতে পারবো না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে তিহার জেলে আছেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর বদলে বীরভূমের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু দলে ভাঙন অব্যাহত। কিছু দিন আগেই বীরভূমের পাড়ুই থানার সাত্তোর গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ ৬০০ জন কর্মী সমর্থক নিজেদের হাতে সিপিআইএমের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন