সোমবার শেষ হয়েছে বন সহায়ক পদে আবেদনের প্রক্রিয়া। মোট শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ২০০০। যার মধ্যে মালদহ এবং দুই দিনাজপুর মিলিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা ৫০টি। ওই ৫০টি পদের জন্য আবেদন পড়লো ৫০ হাজার।
পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরির অবস্থা ঠিক কী তা ফের একবার প্রমাণ হলো বন সহায়ক পদের আবেদন দেখে। সম্প্রতি রাজ্যে বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক ভাবে ২০০০ জনকে নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। আবেদনও করেছেন অনেকেই। তবে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের চিত্রটা একটু অন্যরকম। যা দেখলে সকলেই চমকে যাবেন।
ওই তিন জেলায় বন সহায়কের শূন্যপদের সংখ্যা ৫০। সোমবার মালদহ ও রায়গঞ্জের বন বিভাগের সামনে ভিড় করেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। বন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, "প্রায় ৫০ হাজার চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছে ৫০ শূন্যপদের জন্য। ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা রাখা হয়েছিল অষ্টম শ্রেণি পাস, তাই আরও বেশি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। শুধু অষ্টম শ্রেণি পাস নয়, এই পদের জন্য আবেদন করেছেন পিএইচডি, স্নাতকোত্তর, স্নাতক পাস প্রার্থীরাও। ওই একই তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করাও অনেকে রয়েছেন।"
অন্য এক আধিকারিক জানান, এত বেশি আবেদন পত্র জমা পড়ায় অন্য কাজ বন্ধ করে সেগুলো বাছাই করতে হচ্ছে। কারণ সময় কম। দ্রুত বাছাই করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সৈয়দ মহম্মদ আলি সহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করে জানান, ২০২০ সালে সরকার মেধাতালিকা প্রকাশ না করেই বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সেক্ষেত্রে কে কত নম্বর পেয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, রাজ্য সরকারকে বন সহায়ক পদে পরীক্ষার নম্বর সহ মেধাতালিকা হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। পরে পুরো প্যানেল বাতিলের অর্থাৎ ২০০০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন