বয়স পেরিয়ে চাকরি পেলেন কেউ, আবার কেউ মৃত্যুর পর পেলেন নিয়গপত্র। হুগলির প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে দেওয়া নিয়োগপত্র ঘিরে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। এইভাবে মোট ৬৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এখনও চলছে। হকের চাকরির দাবিতে পথে বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই আবহে ৬৬ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিল হুগলির প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তাঁদের নিয়োগ কার্যকর হয়েছে ২০১৪ সালে। কিন্তু এতদিন কোনো নিয়োগপত্রই পাননি। ওই ৬৬ জনের মধ্যে ৪ জনের আবার মৃত্যুও হয়েছে। বাকি ৬২ জনের বয়স ৬০-র বেশি। তাঁরাই প্রশ্ন তুলছেন অবসর নেওয়ার বয়সে চাকরী করবো কীভাবে?
এমন নিয়োগপত্র নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করেছে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ। বিজেপির তরফ থেকেও সুর চড়ানো হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, অযোগ্য লোককে বসিয়ে রাখলে এই ধরণের ঘটনাই ঘটবে।
এবিপিটিএ-র সভাপতি মোহনদাস পন্ডিত বলেন, এই রকম ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। অবসর নেওয়ার সময় চাকরি পেলেন সকলে। মানে চাকরিতে যোগ দিয়েই চাকরি চলে যাবে। যদিও বলা হয়েছে সকলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু এত সময় লাগার কারণ কী? এর তদন্ত হওয়া দরকার।
নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া এক শিক্ষক বলেন, বাম আমলে চাকরি হওয়ার কথা ছিল আমাদের। কিন্তু তা হয়নি। আমাদের প্যানেলই বাতিল হয়ে যায়। তারপর আদালতের নির্দেশে আমরা এখন নিয়োগপত্র পেলাম। গত বছর ডিসেম্বর মাসেই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল সকলকে নিয়োগপত্র দেওয়ার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন