আবারও ভাঙতে চলেছে বিজেপি? অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন – “এখানে আসতে আসতেই শুনলাম আরও ৭-৮জন বিজেপি বিধায়ক আমাদের দলে আসতে চান। তাঁরা আসুন। উন্নয়নের কাজ করুন সেটা আমরা সকলেই চাই। তবে জোর করে কাউকে নেব না। জোর করে কিছু করব না।”
বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ডামাডোল এখনও থামেনি। একের পর এক বিধায়ক বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন একাদিক বিজেপি নেতা। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সায়ন্তন বসু থেকে শুরু করে জয়প্রকাশ মজুমদার বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছেন। রীতেশ তিওয়ারির মতো পুরানো নেতারা অভিযোগ করছেন – বর্তমান বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব বিজেপিকে তৃণমূলের বি-টিমে পরিনত করার চক্রান্ত করছে। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পরেই বিজেপি ছেড়ে একেরপর এক নেতা তৃণমূলে পাড়ি দিয়েছেন। মুকুল রায় থেকে শুরু করে সব্যসাচী দত্ত ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। এই মুহূর্তে বিজেপির কারা কারা তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখছেন, সেই নিয়ে বিজেপির অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি, বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাজেটে কমানো হয়েছে হীরের দাম। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “মানুষ কি হীরের ঝোল, চচ্চড়ি, তরকারি বানাবে! সাধারণ মানুষ তো চাল, ডাল চায়, হিরে নয়। আর ওরা নিজেরা হীরের ঘণ্ট খেয়ে বসে থাকবে।”
নোটবন্দি নিয়েও কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদির সরকার নোটবন্দির ছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করেনি। রাজ্য সরকার লক্ষী ভান্ডারের মত প্রকল্প নিয়ে এসেছে। আরও প্রকল্প আনবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন