বাঙলায় সততার লেশমাত্র নেই। কোভিডের সময় একেক জন একেক রিপোর্ট দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। মুখ্যসচিবের রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী খারিজ করে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর রিপোর্ট খারিজ করছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সিপিআই(এম) দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকেও এদিন একহাত নিলেন সুজন চক্রবর্তী। রাজ্যপাল সম্পর্কে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, রাজ্যপালের পদ সাংবিধানিক। তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন কেন? সাংবাদিক সম্মেলন করা তাঁর কাজ নয়। রাজ্যপালের কোন কথা থাকলে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠান। রাজ্যপালের পদকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলার বিষোদগার করা বিজেপির কাজ হতে পারে, রাজ্যপালের নয়।
তিনি আরো বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। মহিলাদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা তলানিতে। মহিলাদের ওপর আক্রমণ গ্রামে শহরে। একাধিক খুনের ঘটনার এবং পুলিশ খুনের আসামী, পুলিশ যাকে খুঁজে পাচ্ছিলো না, যিনি দেশছাড়া হয়ে থাকলেন তিন বছর তিনি কলকাতায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। পুলিশ দেখতে পেলো না? আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মা ডেকেছিলেন। এখন কি মাসি বা পিসি বলে ডাকলেন, যাতে সাত খুন মাফ হয়ে গেল? এটাতে স্পষ্ট যে শাসক দলের ইঙ্গিতে সবকিছু চলছে। প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই।
রাজ্য সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি বিজেপিকেও এদিন আক্রমণ করেন এই বাম নেতা। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় কী হচ্ছে? উত্তরপ্রদেশে কী হচ্ছে? গুজরাটে কী হচ্ছে? রাজ্যে রাজ্যে সবাই আক্রান্ত। পশ্চিমবাংলায় যেমন আইনের শাসন নেই তেমনই ওই সব রাজ্যেরও একই অবস্থা। যদি বিজেপি সত্যিই তৃণমূলকে বিপদে ফেলতে চাইতো তাহলে চিটফান্ডের অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করলেই তো তৃণমূল দলটা উঠে যেত। মোদী শাহ তৃণমূলকে এখানে সুযোগ করে দিচ্ছে আর রাজ্যপাল বাইরে গিয়ে রাজ্যের বদনাম করছে। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।
দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন - বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসলে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হবে। আসলে দিলীপ ঘোষের দম বা যোগ্যতা কোনটাই নেই। সবটাই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখেনি। বাংলায় বিজেপির আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন