সবাইকে দল থেকে তাড়িয়ে একা রাজত্ব করার মতলবে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। সপ্তাহের শুরুতে ঠিক এই ভাবেই কলকাতা পৌর নিগমের বর্তমান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে এক হাত নিলেন আসানসোলের বিধায়ক তথা মুখ্য পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
সোমবার তাঁর লেখা একটি চিঠি ফাঁস হয়েছে। চিঠিটি তিনি লিখেছিলেন ফিরহাদ হাকিমকে। আচমকাই এই চিঠিটি প্রকাশ্যে চলে আসে। এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি জানান, তিনি কোনো চিঠি প্রকাশ্যে আনেননি। তিনি আলাদা করে চিঠি দিয়েছিলেন। যা কখনোই প্রকাশ্যে আসার কথা নয়।
ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেছেন, "আসানসোলের কথা বললেই উনি বলেন বিজেপির এজেন্ট। দল থেকে বেরিয়ে যেতেও বলেন। আসানসোলের মানুষদের আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উনি যতটা ভালবাসেন আমরা তার থেকে কম ভালবাসি না।"
তাঁর আরো অভিযোগ, বিজেপি ওনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে কিন্তু আমাদের সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগাযোগ নেই। তৃণমূলের লোকেরাই বিজেপিকে সুযোগ করে দিচ্ছে। দলের লোকেরাই যদি বাইরের লোকেদের সব কথা বলে দেয়, তাহলে অন্যরা সেই সুযোগ নেবেই।
প্রসঙ্গত, ফিরহাদ হাকিমকে লেখা চিঠিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের ২,০০০ কোটি টাকা থেকে আসানসোলবাসীকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। ক্ষতিপূরণের যে প্রতিশ্রুতি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দিয়েছিলেন সেটা বজায় রাখেননি তিনি।
এই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই ফিরহাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চিঠি লেখার আগে আমার সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। কেউ বিজেপিতে যেতে চাইলে দরজা খোলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে আটকাতে বারণ করেছেন।
চিঠি বিতর্কে ইতিমধ্যেই শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মঙ্গলবার জিতেন্দ্রর সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটে বৈঠকে বসতে চলেছেন ফিরহাদ। এই বৈঠকে থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। শুভেন্দু, রাজীবের পর এবার আরও একটি বৈঠকের প্রতি কৌতূহল বাড়ছে রাজনৈতিক মহলের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন