মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁদের নিয়োগ করা যাচ্ছে না? কিসের অসুবিধা? এঁরা সকলেই শিক্ষিত। শিক্ষিত যুবসমাজের জীবন অন্ধকারে ঠেলে দেবার অধিকার কারও আছে কি? - ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলেও কথা রাখতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন, মেধা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে তারা কেউ বঞ্চিত হবে না। কিন্তু আদপে তা হয়নি।
প্রসঙ্গত, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরে শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে যথাসময়ে। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ও মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া চাকরীপ্রার্থীরা এখনো চাকরি পায়নি। মঙ্গলবারে চিঠিতে সেই বিষয়টিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনে করিয়ে দিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা।
এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া যুবক-যুবতীরা। গত লোকসভা ভোটের আগে প্রায় এক মাস ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে বসেছিলেন তাঁরা। সেইসময় চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আশ্বাস পেয়েই চাকরি প্রার্থীরা অনশন তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা কার্যকর হয়নি। এই বিষয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী নেতারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন