ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মী খুনে মামলা দায়ের হলো ভাঙড়ের কাশীপুর থানায়। আরাবুল ইসলাম, আরাবুল পুত্র হাকিমুল সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও মামলা নিয়ে চিন্তিত নন ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা (আরাবুল)।
নির্বাচন আসবে আর ভাঙড়ের নাম শোনা যাবে না এটা কার্যত অবিশ্বাস্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ভাঙড়ে ২ নম্বর ব্লক। মনোনয়নের শেষ দিনে ব্যাপক বোমাবাজি চলে এলাকায়। মৃত্যু হয়ে মহিউদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মীর। আইএসএফ-র অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে তাদের কর্মীকে।
রবিবার নিহত মহিউদ্দিনের বাবা কুতুবউদ্দিন মোল্লা কাশীপুর থানায় গিয়ে আরাবুল ইসলাম, হাকিমুল ইসলাম সহ মোট ২০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই খুনের সাথে এরা সকলে যুক্ত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে, অস্ত্র আইন, খুন, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে ওই একই দিনে নিহত তৃণমূল কর্মী রাজু নস্করের পরিবার।
মামলা প্রসঙ্গে আরাবুল বলেন, ‘‘আমি বা আমার ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। আমরা তো বিডিও অফিসের সামনে ছিলাম। মনে হয় আইএসএফ কর্মীরাই গুলি চালাচ্ছিল। ওই গুলিই মহিউদ্দিনের লেগেছে।’’
নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারে। তবে তাদের প্রমাণ দিতে হবে আমি কোনো অশান্তির সাথে যুক্ত কিনা, অশান্তি সৃষ্টিতে প্ররোচনা দিয়েছি কিনা। যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে তাহলে আদালত যা শাস্তি দেবে মেনে নেবো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন