তিস্তায় জারি হল হলুদ সতর্কতা। টানা বৃষ্টির জেরে সেচ দফতর থেকে এই সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
একই বঙ্গে প্রকৃতির খামখেয়ালীপনা। একদিকে দক্ষিণের মানুষ যখন বৃষ্টির আশায় দিন গুনছেন। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের মানুষ তখন বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব নদীগুলির জলস্তর বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে ধীরে ধীরে নদীর জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। যার জন্যই তিস্তায় সতর্কতা জারি করতে বাধ্য হল প্রশাসন।
এমনিতে বর্ষার সময় পাহাড়ি নদীগুলি প্রতিবছর গ্রামবাসীদের মধ্যে ত্রাসের সঞ্চার ঘটায়। কিন্তু এই বছর বর্ষার শুরুতেই উত্তরবঙ্গে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। অবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর আলিপুরদুয়ারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৭১ মিলিমিটার। জল্পাইগুড়িতে হয়েছে ১৫৯ মিলিমিটার। পাশাপাশি দার্জিলিং-এ শুক্রবার রাত পর্যন্ত ১৩৫-১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা আছে। তাছাড়া ধূপগুড়ির বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের প্রায় ৫-৭ টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় রয়েছে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক ঐসব এলাকা ঘুরে দেখেন। নিকটবর্তী নদীগুলির বাঁধ মেরামতির কথাও উঠে আসে প্রশাসন সূত্রে। জল্পাইগুড়ি পুরসভার এক আধিকারিক জানান, তিস্তার জলস্তর খতিয়ে দেখা হল। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও মতামত নেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি ঠিক আছে। কিন্তু জলস্ফীতি হলে আরও দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন গ্রামবাসীরা। পুরসভার তরফ থেকে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের সাথেও ক্রমাগত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ লাগোয়া সিকিমেও বৃষ্টিপাতের জেরে ব্যাপক ধস নেমেছে। লাচুং থেকে ইয়ুমথাং ভ্যালি পর্যন্ত একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। বলা যেতে পারে দুটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন