২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে এক যুবকের অ্যাকাউন্টে। এমনই অবাক করার মতো ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকে।
২১-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচনে জিতলে রাজ্যে লক্ষ্মীরভাণ্ডার চালু করবেন। সেই অনুযায়ী তপশিলী জাতি-উপজাতির মহিলারা পান ১০০০ টাকা এবং অন্যান্যরা পান মাসে ৫০০ টাকা করে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম জমা দিয়েছিলেন সেকন্দ্রা গ্রামের ফরিদা খাতুনও। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এক পয়সাও তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি অথচ প্রতি মাসে মোবাইলে এসএমএস আসতো। প্রশাসনিক কর্তাদেরকে জানালেও কেউ তাঁর অভিযোগ শোনেননি।
রঘুনাথগঞ্জ২-র নতুন বিডিও-র কাছেও একই অভিযোগ করেন ফরিদা খাতুন। ওই মহিলার অভিযোগ শুনেই দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন বিডিও দেবোত্তম সরকার। তদন্তে জানা যায়, ফরিদা খাতুনের টাকা জমা পড়তো সম্মতিনগরের বাসিন্দা সাদের শেখের অ্যাকাউন্টে। এইভাবে ২৬ মাস ৫০০ করে ১৩ হাজার টাকা জমা পড়েছিল ওই যুবকের অ্যাকাউন্টে। বিডিও ওই যুবককে ডেকে পাঠাতেই সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেন তিনি। সাদের শেখ জানান, তাঁর এক বন্ধু ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদা খাতুনের নামেই অ্যাকাউন্ট বানিয়ে দেয়। এর সাথে যুক্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও। কারণ তাঁরাও খতিয়ে দেখেননি।
বিডিও দেবোত্তম সরকার জানান, এই ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতি অবশ্যই ছিল। পাশাপাশি দালাল চক্রও এই কাজের জন্য দায়ী। ওই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে। যে যুবকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছিল তিনি মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। মঙ্গলবার ২৬ মাসের ওই মহিলার প্রাপ্য ১৩ হাজার হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে সে
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন