রবিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন সেখান থেকে ফের একবার ডায়মন্ড হাবরার মডেলের কথা তুলে ধরলেন তিনি। অভিষেককে বলতে শোনা গেল, রাজ্য় সরকার যদি ভাতা দিতে না পারে, তাহলে উপভোক্তারা যাতে আজীবন ভাতা পায়, তার ব্য়বস্থা তিনি করবেন। আর অভিষেকের এই মন্তব্য নিয়েই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে কী নিজের দলের উপরই বিশ্বাস রাখতে পারছেন না তিনি?
রবিবার, ৭৬ হাজার ১২০ জন প্রবীণের হাতে ১ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অর্থাৎ এই বাবদ ১ মাসে খরচ হবে, ৭ কোটি ৬১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “শুধু এটা ১ মাস নয়, ২ মাস নয়, রাজ্য় সরকার যদি কোনও কারণে না শুরু করতে পারে, যতদিন আমি বেঁচে আছি, আপনাদের চিন্তা করতে হবে না। এর ব্য়বস্থা আজ যেমন করেছি, আজীবন আপনি যতদিন থাকবেন, এই বার্ধক্য় ভাতা আপনি পাবেন।“
আর এদিন অভিষেকের এই মন্তব্যের পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “উনি এটা মডেল করতে বললেন। বললেন, এই মডেলটা সারা রাজ্যে চালু হোক। তার মানে কি, রাজ্য সরকার ফেল? উনি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুললেন কি?”
এদিনের কর্মসূচিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “অনেকে বলছে আমি ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়ব। সবার লড়ার অধিকার আছে আপত্তি কোথায়? যে কেউ আসতে পারে আমি তো প্রথম দিনই বলেছি। বিজেপির ছোট, বড়, মাঝারি নেতা যে কেউ লড়তে পারেন এবং কোনওরকম কোনও অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন। আবার বলবেন না নমিনেশন জমা দিতে দিল না। এসব বাহানা যেন শুনতে না পাই তার কারণ পঞ্চায়েতের সময়ও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে।“
অভিষেকের এই মন্তব্যের উত্তরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “শুধু গণতান্ত্রিকভাবে ভোটটা করতে দিন। লুঠ করবেন না। তাহলে দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে। চ্য়ালেঞ্জ স্বীকার করলাম। ডায়মন্ড হারবারে পদ্মফুলের যেই প্রার্থী হোক, ওকে হারাবে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন