একদিকে পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে (সরকারি প্রতিষ্ঠান) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পাশে অভিষেকের ছবি। এই দুই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা ছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকলেও, ছিল না দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তা নিয়ে বার বার প্রকাশ্যে এসেছে দলের নেতাদের অসন্তোষ। আর এই আবহেই উলুবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে সভাপতি মালেখা খাতুনের ঘরের দেওয়ালে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ছবির পাশে অভিষেকের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়েও শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত অভিষেকের ছবিটি দেওয়াল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শাসক দল সূত্রে খবর, দলীয় নির্দেশ মেনেই অভিষেকের ছবি সরানো হয়েছে।
রবিবার বর্ধমানেও দেখা গেল একইরকম চিত্র। দুর্গাপুজোর মা কার্নিভালের অনুষ্ঠানের ব্যানারে দেখা গিয়েছে, উপরে বাঁ দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। অভিষেকের ছবি ঠিক তার নীচে। রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। মা কার্নিভালে অংশ নেওয়া পুজো কমিটিগুলির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও ইন্দ্রনীল সেন এবং বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
সরকারি অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘আসলে প্রশাসনের আধিকারিকেরা এখন দু’কান কাটা হয়ে গিয়েছে। সরকারি অনুষ্ঠানে এখানকার সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ অনুষ্ঠানের ব্যানারে ছবি আছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের (অভিষেক)। কোনটা সরকারি আর কোনটা তৃণমূলের অনুষ্ঠান, তা এখন বোঝা যায় না।"
প্রসঙ্গত, নেতাজি ইন্ডোরে মমতার পাশে অভিষেকের ছবি না থাকা নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তিনি বলেছিলেন, ‘অভিষেকের ছবি কারা বাদ দিয়েছেন, তা আমি বলতে পারব না। তবে যাঁরাই এটা করে থাকুন, ঠিক করেননি।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন