সিঙ্গুর থেকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন DYFI সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। নরেন্দ্র মোদীকে অভিষেকের ‘মামা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন - এই মামা না থাকলে অভিষেককে আজ জেলে থাকতে হত।
বুধবার সিঙ্গুরে বাম যুব সংগঠনের বিডিও অফিসে ডেপুটেশন ও সমাবেশ কর্মসূচি ছিল। সেই সমাবেশ থেকেই রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনায় সরব হলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন, আগে থেকেই সবকিছু ঠিক ছিল। শুভেন্দু, মুকুল ও অভিষেক মিলে কয়লা চুরি করবে। তবে তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটালো ইডি আর সিবিআই। তাই ক্ষেপে উঠেছে মমতা ব্যানার্জী আর অভিষেক।
নিজেরা বেকায়দায় পড়েই ‘মামা’ নরেন্দ্র মোদীর পায়ে পড়ছে। আর মোদী ‘মামাও’ নিজদের মধ্যে সেটিং করে নিচ্ছে। তিনি এও বলেন, “অভিষেকের ঐ ‘মামা’ না থাকলে আজ ও জেলে থাকতো”।
পাশাপাশি অভিষেককে গ্রেপ্তারেরও দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে। তাঁকে বলতে শোনা যায় - "সে (অভিষেক) বলছে আমি ওপেন ফাঁসির মঞ্চে ফাঁসি নিয়ে নেব। কিন্তু ভারতবর্ষে আত্মহত্যা করা আইনত অপরাধ। আত্মহত্যা করলে মামলা করা হয়। তাহলে অভিষেক প্রকাশ্যে আত্মহত্যার কথা বললেও পুলিশ এখনও কেন তাঁকে গ্রেফতার করছে না?" মীনাক্ষী কটাক্ষ করে বলেন - "তৃণমূল সাংসদ যে বলছে ফাঁসির মঞ্চে জয় গান গাইবে। সেই ফাঁসির মঞ্চে ভগৎ সিং, শুকদেব, ক্ষুদিরাম জয়গান গেয়েছেন। কোনো ‘কয়লা চোরের’ মুখে জয় গান মানায় না। লেভেলটা রাখুন।"
তিনি আরও বলেন, এই তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরি চুরি করেছে। সিঙ্গুরেও ঠিক একই ভাবে শিল্প গড়তে দেয়নি মমতা। সকলের জানা উচিত বামফ্রন্টের সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকরা মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলা জেতে কৃষকরা। মমতা মামলা জেতেনি। মমতার সরকার মামলা হেরেছে। বলা হয়েছিল সিঙ্গুরের জমি চাষযোগ্য করে কৃষকদের ফেরত দিতে হবে। চাষযোগ্য করে না দিয়ে আজ ভেড়ি হচ্ছে সেই জমিতে। যেভাবে ৯০% তৈরি হয়ে যাওয়া কারখানা ধ্বংস করেছিল তৃণমূল, ঠিক একইভাবে এই মমতার সরকার বেকারদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন