বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক পত্নী রুজিরা ব্যানার্জি। তাঁর অভিযোগ, কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বার বার কেন্দ্রীয় সংস্থা বিদেশ যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করছে।
রুজিরা ব্যানার্জির হয়ে আইনি লড়াই লড়ছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। বৃহস্পতিবার আদালতে তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলের কাছে ইডির তরফ থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে যে তিনি (রুজিরা ব্যানার্জি) এখন বিদেশযাত্রা করতে পারবেন না। অথচ এর আগে রুজিরা ব্যানার্জি বিদেশে গিয়েছিলেন। তখন ইডি কোনো বাধা দেয়নি। ফলে নতুন করে বাধা দেওয়ার যুক্তি কোথায়? মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ জুলাই।
প্রসঙ্গত, এর আগে দুই সন্তানকে নিয়ে দুবাই যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে তৃণমূল সাংসদের স্ত্রীকে আটকায় অভিবাসন দপ্তর। বিমান ধরবার আগেই তাঁকে অভিবাসন দপ্তরের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। বিমানবন্দরেই বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি ফিরে যান। অভিবাসন দপ্তর জানায়, ইডির এক মামলায় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘লুক আউট’ নোটিশ জারি করা আছে। ফলে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপিত আছে।
যদিও অভিষেকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রক্ষাকবচ অনুসারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রায় কোনো বাধানিষেধ নেই। তখনই আইনি পথে হাঁটার কথা বলেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি।
রুজিরা ব্যানার্জিকে ইডির বাধা দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। তিনি বলেছিলেন, খুবই অমানবিক কাজ। ইডিকে আগে থেকেই বিদেশে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল সে। তারপরেও ইডি বাধা দিয়েছে। অভিষেক ব্যানার্জি বলেছিলেন, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে রাজনৈতিক ভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর নিশানায় ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন