আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। তাই নিম্নচাপের বর্ষা যাতে কোনও রকম ভাবেই ভবানীপুরবাসীকে সমস্যায় ফেলতে না পারে, সেটাই এখন নবান্নর পাখির চোখ। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পাম্প বসানো হয়েছে সুধীর বসু রোডের জলের জন্য। বাকি কলকাতায় যাই হোক না কেন, ভবানীপুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই এনডিআরএফ টিমকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
নিম্নচাপের জেরে রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ জলমগ্ন। ১১৫টি ব্লগ এবং ৪২টি পুরসভা প্লাবিত। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাড়ে ৬০০ ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ৯০ হাজারের বেশি মানুষ সেই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। শনি, রবিবার ফের আসবে নিম্নচাপ। আগামী সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।
নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং ১৫টি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। তবে ভোট বৈতরণী পেরোনোর জন্য গোটা রাজ্য নয়। আপাতত ভবানীপুরকে বাঁচিয়ে রাখাই লক্ষ্য নবান্নের। মুর্শিদাবাদের দুই নির্বাচনী কেন্দ্রের জন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
মোমিনপুরে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'শনিবার, রবিবার বৃষ্টি হবে। আকাশ তো আর আমাদের হাতে নেই। এখন গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে। খুব বৃষ্টি হচ্ছে। এগুলো আমার হাতে নেই। এটা নেচার।' গত সোমবার মধ্যরাতে বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে আলিপুর, একবারপুর, মোমিনপুর, খিদিরপুর এলাকা। আমফানের সময় একবালপুর এলাকায় জল জমে।
গত কয়েক বছরে যে এলাকায় কোনও পরিবর্তন হয়নি, সেটা বুঝতে পারছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সেই জলই নির্বাচনী যুদ্ধে বাধা হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকে মোমিনপুরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেশি বৃষ্টি হলে বন্যা তো হবেই। আমরা রুখতে পারব না। আমাদের বাংলাটা নদীমাতৃক দেশ।
ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। যথাসময়ে নির্বাচন না হলে রাজ্যের বিপর্যয়ের আশংকা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। নির্বাচনের আগে ছিল কোভিড সমস্যা। এখন কোভিড নয়, জল সমস্যাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থীর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন