তাজপুর বন্দর নির্মাণ করবে আদানি গোষ্ঠীই। হিন্ডেনবাগ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আদানির বিরুদ্ধে সরব হলেও তাঁকেই ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিতর্কের পরেও নাকি কাজ স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে।
হলদিয়া বন্দরের পাশাপাশি তাজপুর বন্দরেরও দায়িত্ব পেয়েছিলেন আদানি গোষ্ঠী। তবে 'আদানি স্ক্যাম' প্রকাশ্যে আসায় মনে করা হচ্ছিল তাজপুর বন্দর হয়তো অন্য কোনো শিল্প গোষ্ঠীর হাতে যাবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কাজ থেমে থাকেনি। নির্দিষ্ট সময়ে বন্দর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েই কাজ চলছে। কিছু জমি নিয়ের একটু সমস্যা রয়েছে। তবে সেই জট দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে জলপথে বাণিজ্যের জন্য তাজপুর বন্দরের বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে। ওড়িশার ধামড়া বন্দরও আদানি গোষ্ঠীর হাতে। তবে তাজপুর বন্দর সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ধামড়ার থেকে কম খরচে ও কম সময়ে পূর্বাঞ্চলের সাথে বাণিজ্য সম্ভব হবে।
এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানান, আদানি গ্রুপ কখনই বলেনি যে বন্দরের কাজ তারা করবে না। তাজপুর বন্দর নির্মাণের জন্য 'লেটার অফ ইনটেন্ট' পেয়েছে তারা। ফলে নির্মাণ কাজ করতেই হতো। বন্দরে তৈরির আগে একাধিক আইনি প্রক্রিয়া থাকে। সেগুলি মসৃণভাবেই চলছে। বন্দর নির্মাণ বন্ধের কোনো সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, গত বছর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয় তাজপুর বন্দর আদানির হাতে তুলে দেওয়া হবে। সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, 'কর্মসংস্থানে রাজ্য আরও একধাপ এগিয়ে গেল। মমতা ব্যানার্জীর সিদ্ধান্তে আদানি গোষ্ঠী আনন্দিত। তারাও বিনিয়োগ করতে মুখিয়ে আছে। রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন গৌতম আদানি।' পরে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে 'লেটার অফ ইনটেন্ট' গৌতম আদানির হাতে তুলে দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন