গতকাল মাঝরাতে আনিস খানের ভাইকে ভোজালির কোপ মেরেছে দুষ্কৃতিরা। এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ এবং আগামীকাল বিকেল ৪টের সময় আমতা থানা ঘেরাও করা হবে। এমনটাই জানালেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।
ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর জট না কাটতেই ঠিক সাত মাসের মধ্যেই এবার ভয়াবহ আক্রমণ নেমে এল তাঁর খুড়তুতো ভাই সলমনের উপর। শুক্রবার গভীর রাতে সালমান খানের উপর আক্রমণ করা হয়। সালমানের বাবা জালেম খানের অভিযোগ, রাত ১.১৫ নাগাদ কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরেন সালমান। ১.৩০ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাথরুমে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই তাঁর উপর অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী।
সংবাদমাধ্যমে সলমনের স্ত্রী দাবি করেন - সলমনের উপর হামলা চালানোর সময় তিনি বাইরে ছিলেন। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় সালমান পড়ে আছেন। এক জনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন তিন। যদিও সেই দুষ্কৃতিকে চিনতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পরেই দ্রুত বাগনান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
আনিসের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর পরিবারের উপর বিভিন্ন রকমের হুমকি আসত। সালমানের স্ত্রী বলেন - ‘‘আনিসকে মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর পর যাকে মারা হবে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না’’ - রাস্তাঘাটে এমন হুমকি দেওয়া হত।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে - হুমকির অভিযোগ নিয়ে নিরাপত্তার দাবিতে আমতা থানায় অভিযোগও করেছিলেন সালমান। স্থানীয় কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও নিরাপত্তা দেয়নি আমতা থানা।
হাসপাতালে শুয়ে আহত সলমন জানান, ‘‘আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। স্ত্রী তখনই সেখানে পৌঁছন। স্ত্রী না থাকলে আমাকে খুন করে পালাত।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী মৃত্যু হয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের। এই মৃত্যুর পিছনে পুলিশের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ জানিয়ে এসেছে তাঁর পরিবার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন