দু'জনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েছেন। একজন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা, আর একজন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। গত বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গকে ভেঙে আলাদা রাজ্য গড়ার দাবি জানাচ্ছিলেন বারলা। তাঁর সঙ্গে অবশ্য আরও দু-একজন বিজেপি সাংসদ, বিধায়কও আছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাতে প্রকাশ্যে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চায়নি। কিন্তু মন্ত্রিত্ব পেয়েও বাংলা ভাগের দাবিতে একই রকম সোচ্চার হলেন বারলা।
উল্টোদিকে অপেক্ষাকৃতভাবে সুর নরম করলেন নিশীথ। জন বারলা সুর চড়ালেও নিশীথ প্রামাণিক সুকৌশলে এই বিতর্ক এড়িয়ে যান। গত মাসে যখন উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ, দিলীপ ঘোষেরা জানিয়ে দেন, এ প্রস্তাব একান্তই বারলার নিজস্ব। দল এতে রাজি নয়। তারপরও বারলা দাবি করেছেন, স্থানীয় মানুষের দাবি মেনে উত্তরবঙ্গ বিভাজনের প্রয়োজন রয়েছে।
বার্লার কথায়, ‘উত্তরবঙ্গকে স্বাধীন রাজ্য করার দাবি প্রায় একশো বছরের পুরোনো। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব। জনতার দাবিকে দাবিয়ে রাখা যায় না। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ায় এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।’ নিশীথ অবশ্য সতর্কতার সঙ্গে উত্তর দেন, ‘আজ তো সদ্য দায়িত্ব নিলাম। আগে গোটাটা বুঝতে দিন।’
এই প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন - ‘‘বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ ভাগের বিরুদ্ধে। এটাই দলের অবস্থান। যদি কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েও জন বার্লা বা কেউ এমন কিছু বলেন, তবে আমাদের দলের উপর তলায় তা জানাতে হবে।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন