১৯ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে বুধবার মাঝরাতে বাইরনের বাড়ি থেকে বের হলেন আয়কর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তল্লাশি চালিয়ে ৭২ লক্ষ নগদ টাকা আর বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর কী কী পাওয়া গেছে তা খুব শীঘ্রই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হবে আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে বলে জানা গেছে।
বাম-কংগ্রেস ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাইরনের হাসপাতাল, স্কুল, বিড়ি ও চায়ের ব্যবসাও রয়েছে। মূলত চায়ের ও হাসপাতাল ব্যবসাতে প্রচুর দুর্নীতি ও কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাইরনের বিরুদ্ধে। গত সেপ্টেম্বরে সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি পায় আয়কর বিভাগ। এরপর আয়করের তিন সদ্যসের একটি দল তদন্ত শুরু করে। জানা গেছে, বাইরন বিশ্বাসের চা ও হাসপাতাল ব্যবসা থেকে হওয়া আয়কে একাধিক শেলের মাধ্যমে অন্যত্র বিনিযোগ করা হয়েছে। এবং আয়কর দপ্তরকে এই ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে দেখানো হচ্ছে।
গত ২৬ নভেম্বর সেই কোম্পানিগুলির চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আয়কর কর্তারা। তাঁদের জেরা করে মেলা তথ্যের ভিত্তিতেই বাইরনের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তিতে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় আয়কর কর্তারা।
বুধবার সকাল ৬ টা ১০ মিনিট নাগাদ বাইরনের বাড়িতে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে একটি দল বাইরনের শামসেরগঞ্জের বাড়িতে পৌছায়। পাশাপাশি, বাইরনের রঘুনাথগঞ্জের স্কুলে অন্য একটি দল পৌঁছে যায়। হাসপাতালেও পৌঁছে যায় একটি দল। অপর দল হানা দেয় তাঁর চায়ের ব্যবসার অফিসে।
অনুমান করা হয়েছিল, তল্লাশি অভিযান বেশ দীর্ঘ হবে। সেই ভেবে আয়কর আধিকারিকদের থাকার আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার গভীর রাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনটি গাড়িতে বিধায়কের বাড়ি ছাড়েন আয়কর আধিকারিকরা। জানা যায়, বাইরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির হিসাবরক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিধায়কের বাবা বাবর বিশ্বাসকেও।
এদিন তল্লাশির মাঝেই হঠাত করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাইরন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁরই হাসপাতালে। সুস্থ হওয়ার পর রাতে বাড়ি নিয়ে আসা হলে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আয়কর আধিকারিকরা। তবে এই দীর্ঘ তল্লাশি পর্বে কী কী উদ্ধার হয়েছে তা আয়কর বিভাগের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। জানা গেছে পরে একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানানো হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন