গত কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল তৃণমূল। যেকোনও সভা, দলীয় মুখপত্রে বারবার কংগ্রেসের নানাভাবে সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সেই অর্থে কেউ ছিল না। অবশেষে চার পুরনিগম নির্বাচনের ঠিক আগে বাংলার দিকে নজর দিল জাতীয় কংগ্রেস। হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে বাংলার পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হল তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরির কংগ্রেস সাংসদ কেল্লা কুমারকে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বঙ্গ কংগ্রেসের কোনও পর্যবেক্ষক ছিল না। বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের জিতিন প্রসদাক রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হলেও ভোটের আগেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে পর্যবেক্ষক ছাড়াই বিধানসভা নির্বাচন এবং কলকাতা পুরভোটে লড়তে হয় না কংগ্রেসকে।
বিধানসভায় হতশ্রী ফলাফলের পর থেকেই সংগঠনের অবস্থা তথৈবচ। কেন্দ্রীয় স্তরেও রাজ্যের সমস্যার কথা পৌঁছায় না পর্যবেক্ষকের অভাবে। সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান পর্যবেক্ষক নিয়োগের আবেদন জানান। তারপরই চেল্লা কুমারকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল এআইসিসি। তিনি অবশ্য অস্থায়ীভাবে বঙ্গ নেতৃত্বকে দেখাশোনা করবেন বলে খবর।
কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, বঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থা দেখে কেউই দায়িত্ব নিয়ে নিজের বদনাম করতে চাইছিলেন না। প্রশ্ন উঠছে তাই কি অপেক্ষাকৃত অনামী চেল্লাকুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হল।
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, মোদির উদাসীনতায় লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া চলছে। অথচ ভারতে এখনো প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাকরণ সম্পুর্ণ হয়নি। কোনও তথ্য ঠিকমতো দেওয়া হয় না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন