কাঠ পাচারের অভিযোগে শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হল তৃণমূল নেতা তথা আলিপুরদুয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের কালচিনি ব্লক সভাপতি তথা এসটি সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পাশাং লামাকে। গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই আলিপুরদুয়ার সুুপারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কেউ হেরিটেজ বিক্রি করলে, তাঁর বিরুদ্ধে যেন কঠোর পদক্ষেপ করা হয়।
নির্দেশ পেয়েই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। কালচিনি এলাকায় লাগাতার তল্লাশি চলে। উদ্ধার হয় কাঠ ও আসবাবপত্র। বেআইনি কাঠ পাচারের অভিযোগে অবশেষে রবিবার পুলিশ গ্রেফতার করে পাশাং লামাকে।
কে এই পাশাং লামা? ২০১৯ সালে কালচিনি ব্লক সভাপতি নির্বাচিত হন পাশাং। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গলের কাঠ পাচারের অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সব রকম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে বেড়েছে জেলা তৃণমূলের।
রবিবার কালচিনিতে অভিযান চালান বনদফতরের আধিকারিক ও পুলিশ কর্তারা। তবে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কার বাড়িতে এই বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠের আসবাবপত্র মজুত ছিল, তা-ও জানাতে চাননি প্রশাসনিক কর্তারা।
বিরোধীদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি মাফিয়া, সবাই জানে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হেরিটেজ বিক্রি হওয়ার কথা তিনি হঠাৎ জানতে পারলেন? সূত্রের খবর, কালচিনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি পাশাং লামার ঘর থেকে আজও ২০-২৫ লক্ষ টাকার অবৈধ কাঠের আসবাবপত্র উদ্ধার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও পাশাং লামার হাত ধরে অন্য দল থেকে একঝাঁক নেতা-কর্মী তৃণমূলে এসেছেন। ফলে জেলা রাজনীতিতে এর বিস্তর প্রভাব পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন