২১ টি পুকুর খননের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠলো রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যোৎস্না বর্মনের বিরুদ্ধে। যিনি আবার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। মন্ত্রীর স্ত্রী-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ২১টি পুকুর খোঁড়ার জন্য ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এই নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যান বিডিও ও অন্যান্য আধিকারিকরা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তাদের ভুল জায়গায় নিয়ে যায় মন্ত্রীর অনুগামীরা। এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীদের একাংশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সরকারি খাতায় পুকুর খোঁড়ার বিষয় উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু পুকুর বাস্তবে নেই। সেই টাকা মন্ত্রীর স্ত্রী নিয়েছেন। কিন্তু আধিকারিকরা এসে অন্য জায়গা দেখে ফিরে যাচ্ছিলেন। তাই আমরা সবাই বিক্ষোভ দেখাই। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে গাড়ি ফেলে রেখেই এলাকা ছাড়েন বিডিও ও অন্যান্য আধিকারিকরা।
বিডিও অফিসের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের কাছে যে নামগুলি দেওয়া হয়েছিল সেই মতোই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাঁরাও আমাদের জমিগুলি দেখায়। সবই মিলে যাচ্ছিল বলে আমরা ফিরে আসি।
এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, ওই প্রাক্তন প্রধান যদি কোনো ভুল করে থাকেন তাহলে তার তদন্ত হবে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছেও। তৃণমূল কংগ্রেস কোনো বাধা দেবে না। তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে শাস্তি পাবেন। যদিও জ্যোৎস্না বর্মনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, আজগর আলি নামে এক গ্রামবাসী আদালতে মন্ত্রীর স্ত্রী-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি আদালতে জানান, মন্ত্রীর স্ত্রী প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। প্রধান থাকার সময় কারচুপি করে পুকুর খোঁড়ার ২৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই টাকার হিসেব দিতে হবে তাঁকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন