বিধায়কের দেওয়া গাড়ি গায়েব করার পাশাপাশি সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণে টাকা তোলা। এই দুই প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা সজল মুখোপাধ্যায়কে।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরের একটি ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন চণ্ডীপুরের বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সোহম নিজেই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই সজলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাঁকে তমলুক মহকুমা আদালতে তোলার কথা। এমনটাই চণ্ডীপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।
সোহমের অভিযোগ, আপ্ত সহায়ক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর বছর খানেক আগে ব্যবহারের জন্য তিনি সজলকে একটি প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই গাড়ি এখনও কোনও খোঁজ নেই। বার বার গাড়িটি ফেরত চান তিনি। কিন্তু পরেও দেয়নি সজল। গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ অভিনেতার। সেই সন্দেহের বশেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অভিনেতা।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, নিজেকে প্রভাবশালী পরিচয় দিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন সজল। ফলে এই ইস্যুতে এলাকার মানুষের মধ্যে অনেক দিন ধরেই ক্ষোভ বাড়ছিল। সেসব অভিযোগ বিধায়কের কানে পৌঁছে যায়। তারপরে তিনি তৎপর হয়েছেন অভিযোগ দায়ের করতে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন