ফের সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গেল ইডি। বুধবার সকালে শতাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বসিরহাটের সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। এদিনের তল্লাশিতে মিলেছে স্থানীয় পুলিশের সহয়তা। সকাল সাতটা নাগাদ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও সেখানেই রয়েছে ইডি। তবে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে কিছু মেলেনি বলেই খবর।
বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ ১২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ টি কনভয়ে ৬ জন ইডি আধিকারিক হাজির হন শেখ শাহজাহানের বাড়িতে। আধিকারিকরা শাহাজাহানের বাড়িতে পৌঁছলে তাঁদের কাছে তল্লাশির পরোয়ানা দেখতে চায় পুলিশ। তা দেখানোর পরেই পুলিশের তরফে সহযোগিতার আশ্বাস মেলে।
এদিনও তল্লাশিতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। বাড়িতে পৌঁছানোর পর ডাকাডাকি করলেও প্রথমে কেউ আসেনি। পরে একজন বেরিয়ে আসেন। তার কাছে চাবি চাওয়া হলে, তিনি জানান চাবি নেই। এরপর চাবিওয়ালাকে ডেকে শাহজাহানের বাড়ির তালা ভাঙা হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট পর সকাল পৌনে আটটা নাগাদ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকে ইডি।
ইডির সঙ্গে রয়েছেন তাদের নিজস্ব ভিডিয়োগ্রাফার। তল্লাশির পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিয়ো করে রাখা হবে। পুলিশও তল্লাশি প্রক্রিয়াটি ভিডিয়ো করতে চায় বলে জানানো হলে ইডি তা মানা করে দেয়। ইডির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, দরকারে তাদের করা ভিডিয়ো নিতে পারবে পুলিশ।
ইডি আধিকারিকরা তাদের তরফে তিন জন সাক্ষীকেও আনেন। সাক্ষী হিসাবে রয়েছেন দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা। সম্পূর্ণ তল্লাশি পর্ব তাঁদের উপস্থিতিতেই চলবে।
তবে এখনও পর্যন্ত তল্লাশিতে জামাকাপড়, বাসনপত্র ছাড়া আর কিছু মেলেনি বলে জানা গেছে।
যদিও এই তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিআইএম। ঘটনার ১৯ দিন পর এই তল্লাশির কোনও মানে হয় না। বাড়িতে কোনও নথি থাকলে, ১৯ দিন যথেষ্ট সময় তা লুকিয়ে ফেলার জন্য বলে মনে করছে সিপিআইএম।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ১৯ দিন আগে গত ৫ জানুয়ারী শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। সেদিন ওই অভিযানে তৃণমূল নেতার অনুগামীদের হাতে আহত হন ইডি আধিকারিকরা। তিনজন ইডি আধিকারিককে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। আহত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। সেদিন থেকে এখনও বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান।
সেই ঘটনার পর ন্যাজাট থানায় দায়ের করা হয় তিনটি এফআইআর। তার মধ্যে একটি এফআইআর ইডির বিরুদ্ধেই দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় রাজ্যপাল ও কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ভর্ৎসনা করা হয় রাজ্য পুলিশকে। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন