ফের অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। পর্যাপ্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউতে ডাক মেলেনি। ২০১৮ সালের বেনিয়মের অভিযোগে যে তালিকা বাতিল হয়ে গিয়েছে, তাতে নাম থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের তালিকায় তাঁদের নাম নেই। এমনই অভিযোগে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এর আগে টানা ২৯ দিন প্রেসক্লাবের সামনে যখন তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ করা হবে এবং যোগ্যরা চাকরি পাবেন। কিন্তু তাঁরা এখনও চাকরি পাননি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দাবি পূরণ করুক, তাঁরা এমনটাই চান। কিন্তু তা না হলে আন্দোলন চলতে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
২০১৯ সালে টানা ২৯ দিন অনশনের পরও শূন্যপদ পূরণ হয়নি। বিধাননগরে টানা ১৮৭ দিন ধরে ধর্না অবস্থান তুলে দেয় পুলিশ লাঠি চালিয়ে। পরেরদিন তাঁরা ফের অনশনে গেলে শুরু হয় নারকীয় অত্যাচার। তাঁরা প্রথম শিক্ষা মন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে ধরনায় বসেন। এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আলোচনায় বসার আশ্বাস পেলে তারা অনশন তুলে নেন। শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিলেও সব পদ পূরণ হয়নি।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন আপডেট ভ্যাকেন্সি'র কথা বলা হলেও স্কুল সার্ভিস কমিশন ভ্যাকেন্সি আপডেট করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেনি। কমিশনের পরীক্ষা সংক্রান্ত নোটিফিকেশনে বলেছিল যে, যে প্যানেল তৈরি হবে তা শূন্যপদের ভিত্তিতে ১:১:৪ অনুপাতে।
কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে মেধাতালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় সেই অনুপাতে তা হয়নি। সব ক্ষেত্রে মেধাতালিকা থেকে অপেক্ষমান প্রার্থীদের তালিকা অনেকগুণ বেশি। কিছু ক্যাটেগরিতে শূন্যপদের থেকে অপেক্ষমান প্রার্থীতালিকায় রয়েছেন প্রায় ৭৫ বা ১০০ জন। তার প্রতিবাদে তাঁরা ২৯ দিনের আন্দোলন শুরু করেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন